দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি। বিছনাকান্দি পর্যটন কেন্দ্রের মূল সৌন্দর্য পাথর এখন আর নেই। গত ৫ আগস্ট আ.লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বিছনাকান্দি জিরো পয়েন্ট ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ৬০ (ষাট) লাখ ঘনফুট পাথর হরিলুট হয়। পাথরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিছনাকান্দি পর্যটন কেন্দ্রের মূল সৌন্দর্য পাথর চুরি হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন।
সূত্র জানায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের মৌখিক আদেশে তোয়াকুল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাদী হয়ে গত ৩০ অক্টোবর গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বিছনাকান্দি পর্যটন কেন্দ্র ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে আনুমানিক ৬০ (ষাট) লাখ ঘনফুট পাথর চুরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের ভেড়িবিল গ্রামের আব্দুছ ছত্তারের ছেলে হারুন মিয়াকে প্রধান আসামি করে এজাহারে ২৩ জনের উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছে আরও ৫০/৬০ জন।
মামলার বাদী তোয়াকুল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন এজাহারে উল্লেখ করেন গত ৫ আগস্ট বিকাল ৪ টা থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিবেশে দুষ্কৃতকারীরা পাথর চুরি শুরু করে এবং গত ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত নিয়মিত বিছনাকান্দি পর্যটন কেন্দ্র ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ৬০ লাখ ঘনফুট পাথর চুরি করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা।
পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইদুল ইসলামের মৌখিক আদেশে গত ৩০ অক্টোবর গোয়াইনঘাট থানায় ৬০ লাখ ঘনফুট পাথর চুরির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে এদিনই গোয়াইনঘাট থানায় মামলা রুজু করা হয়। মামলা নং ৪৫/২৭৬। থানায় পাথর চুরির মামলা রুজু হওয়ার পর গত ৩ নভেম্বর গোয়াইনঘাট ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিছনাকান্দি সীমান্ত এলাকায় টাস্কফোর্সের অভিযানে আনুমানিক ১ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল বলেন, পাথর চুরি মামলার আসামিদের ধরতে শিগগিরই মাঠে নামছে পুলিশ। গোয়াইনঘাট ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, টাস্ক ফোর্সের অভিযানে বিছনাকান্দি সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে পতিত অবস্থায় আনুমানিক ১ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়।
টিএইচ